ঈদে মীলাদুন্নবী (ﷺ)পালনের শরীয়তের বিধান | সুন্নি বই | SUNNI BOOKS

ইসলামী বিশ্বকোষ 12:30 AM A+ A- Print Email

ঈদে মীলাদুন্নবী (ﷺ)পালনের শরীয়তের বিধান


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

সকল প্রশংসা,হামদ,সানা আল্লাহ সুবহানু তা’আলার প্রতি,লক্ষ কোটি দুরূদ ও সালাম দো’জাহানের বাদশাহ,উম্মতের ভরসা,প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (ﷺ)’এর প্রতি এবং তাঁর আহলে বাইত,সাহাবায় কিরাম,তাবেয়,তাব-তাবেইন,মুজতাহিদ,মুহাদ্দিসীন,আউলিয়া কিরাম,গাউস,কুতুব,ইমাম সকলের প্রতি….. “

হিজরি বর্ষপঞ্জির ৩য় মাস রবিউল আউয়াল।

এই মাস মূলত রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম) এর পবিত্র বিলাদাতের জন্যই স্মরণীয়। বহুকাল আগে থেকে রাসুল (ﷺ)র প্রতি মহাব্বতের জন্যই মিলাদুন্নবী (ﷺ) পালন হয়ে আসছে। যদিও বর্তমানে অনেকে মিলাদুন্নবী (ﷺ) বিপক্ষে কথা বলতে দেখা যায়, যা পূর্বে এমনটি ছিল না। তারা কিছু খোরা যুক্তি তুলে ধরে, অপব্যাখ্যা তুলে ধরে মিলাদুন্নবীর (ﷺ) এর বিপক্ষে তুলে ধরে এবং সবার নিকট ফিতনা বিস্তার করে। বর্তমানে পৃথিবীর কোটি কোটি ইসলাম প্রিয় মানুষ মিলাদুন্নবী (ﷺ) পালন করছে এবং তার বিপক্ষে কথা বলেছে গুটি মাত্রার কিছু ফিতনাবাজ। ইন শা আল্লাহ্‌ কোরআন-হাদীস এবং বিখ্যাত আলেমদের মতামতের মাধ্যমে মিলাদুন্নবী (ﷺ) পালনের সপক্ষে তুলে ধরব।

প্রথমে বুঝতে হবে মিলাদ কি?

মিলাদ,মাওলেদ ও মাওলুদ এ তিনটি শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো -জন্মদিন,জন্মকাল ও জন্মস্থান। বিখ্যাত “আল মনজিদ” নামক আরবী অভিধানের ৯১৮ পৃষ্ঠায় রয়েছে মিলাদ অর্থ জন্মসময় । মাওলেদ অর্থ জন্মস্থান অথবা জন্মসময়,মাওলুদ অর্থ ছোটো শিশু। একইভাবে মিসবাহুল লুগাতের ৯৬৬ পৃষ্ঠায় মিলাদের অর্থ জন্মসময় বলা হয়েছে,ফরহাঙ্গে রাব্বানীর ৬১১ ও ৬১৬ পৃষ্ঠায় মিলাদের অর্থ জন্ম,জন্মদিন,মাওলিদ অর্থ শিশু বা নবজাতক বলা আছে।আল মিসবাহুল মুনীর,গিয়াসুল লাগত,ফিরুজুল লুগাত,লুগাতে সুরাহা ইত্যাদি আরবী অভিধানে মিলাদ’এর অর্থ বলতে জন্মদিন বা জন্মসময় কে বলা হয়েছে। আর মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর পবিত্র জন্মদিনকেই বলা হয়ে,যেই দিনে পৃথিবীতে তিনি আগমন করেছেন,সেই দিন হচ্ছে ১২ই রবিউল আওয়াল’এর দিন। ১২ ই রবিউল আউয়াল হচ্ছে মিলাদুন্নবী (ﷺ)।

মিলাদে সাধারণত কি হয়ে থাকে ?

১.পবিত্র কোরআন,তেলাওয়াত এবং তার আলোচনা

২. না’তে রাসুল (ﷺ) পাঠ করা

৩.রাসুলুল্লাহ (ﷺ)এর জীবনে ঘটে যাওয়া অলৌকিক ঘটনা আলোচনা,হাদিসের আলোচনা

৪.রাসুলে করীম (ﷺ) এর প্রতি দুরুদ ও সালাম পাঠ করা,

৫.সুরা ফাতিহা পাঠ,৩ সুরা ইখলাস পাঠ,জিকির করা

৬. দুয়া ও মুনাজাত শেষে তাবাররুক বিতরণ করা।